আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। বরাবরের মত আমি আব্দুল করিম সাজু আপনাদের
সামনে হাজির হলাম বাংলা ব্যাকরণের নতুন একটি টিউন নিয়ে।কিছুদিন ব্যস্ত থাকার কারণে
এবারের টিউটরিয়ালটি দিতে একটু দেরি হয়ে গেল। বাংলা বানান জানার জন্য অবশ্যই কিন্ত ষত্ব-বিধান
এবং ণত্ব-বিধান একটু ভালোভাবে জানতে হবে।তাহলে বাংলা বানান সমন্ধে আপনার মোটামুটি
ধারণা পাবেন।
তো মূল আলোচ্য বিষয়ে আসা যাক।
শুরুতে বাংলা ব্যাকরণের যেটুকু অধ্যায় আমরা বিগত পর্বে দেখে ছিলাম এখন একটু তার
ফ্ল্যাশব্যাক দেখে নেই।
৬) যে সকল বিশেষণের
শেষে ঈ-কার আছে এবং তার শুরুতে (নিঃ) উপসর্গ যোগ হলে
ঈ-কার বিলুপ্ত হয়ে যায়।
৭) (ঃ)বিসর্গ এর সাথে
যদি ক/প/শিষ ধ্বনি যুক্ত হলে, বানানে (ঃ)বিসর্গ বহাল থাকে।
৮) দূরত্ব (far) বোঝাতে সর্বদা ঊ-কার বসে।
আর যারা বিগত পর্বটি
মিস করেছেন তারা চাইলে এখান থেকে বিগত পর্বটি দেখে নিতে পারেন।
গতপর্বে যেখানে শেষ
করে ছিলাম আজ তার পর হতে শুরু করছি।
৯)-পদের শেষে ‘জীবী’ বানানের ক্ষেত্রে উভয়টি ঈ-কার হবে। যেমন- পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী ইত্যাদি।
তবে মনে রাখবেন যদি
‘জীবী’ এর পরে কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয় তাহলে প্রথমটি ঈ-কার
হলেও পরেরটি
ই-কার হবে। যেমন-
জীবিকা ইত্যাদি।
১০)-পূর্ণ ও পুনঃ
ব্যবহারঃ পূর্ণ(Complete) বানানের ক্ষেত্রে
ঊ-কার হবে। যেমন-পূর্ণরূপ,
পূর্ণমান, পরিপূর্ণ।
কিন্ত পুনঃ(Re) ব্যবহারের ক্ষেত্রে উ-কার হবে। যেমন- পুনঃপ্রকাশ,
পুনঃপরীক্ষা, ইত্যাদি।
১১)-পদের শেষে গ্রস্থ
হবে না ‘গ্রস্ত’ হবে। যেমন-ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদ্গ্রস্ত ইত্যাদি। আমরা অনেক সময় উচ্চারণে ভুল করি যে, ক্ষতিগ্রস্ত না বলে ক্ষতিগ্রস্থ বলে ফেলি। আসলে
এটি গ্রস্থ হবে না, হবে গ্রস্ত।
১২)-সমাসবদ্ধ শব্দগুলোর
মধ্যে কোনো ফাঁকা রাখা যাবে না। যেমন-নীলাকাশ, রাঙামাটি, মিশকালো, মমতারস ইত্যাদি।মানে সমাসবদ্ধ শব্দগুলো আপনার থেকে
একসাথে লিখতে হবে।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে
পদগুলোর মাঝে হাইফেন(-) ব্যবহার করা যাবে।এটা প্রায়শ দ্বন্দ-সমাসের ক্ষেত্রে হয়। যেমন-
জল-স্থল-আকাশ, ভাই-বোন ইত্যাদি।
তবে এই নিয়মটি যে
সবক্ষেত্রে কার্যকর হয় তা কিন্ত না। তবে সাধারণত হয়ে থাকে।
১৩)-শব্দের শেষে সাধারণত
অনুস্বার (ং) হবে।যেমন-রং, ঢং, গাং ইত্যাদি।
তবে এর সাথে যদি স্বরধ্বনি যুক্ত হয়, তখন তা ‘ঙ’ তে রূপান্তর হবে। যেমন- রঙিন(এখানে রং থেকে হয়ে গেছে রঙিন), গাঙচিল(গাং থেকে হয়ে গেছে গাঙচিল) , ঢঙ্গি ইত্যাদি।
(ব্যতিক্রমঃ বাংলা, বাংলাদেশ।)
তাহলে আজ আর বেশী
বাড়াবো না, আজ এতটুকুই। দেখা
হবে আগামী কোন পর্বে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ পর্যন্ত শিখতে থাকুন,জানতে থাকুন, আর জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে থাকুন। দোয়া করবেন আমার
জন্য, আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করবো।
আর হে যদি নূন্যতম ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না কিন্ত! আর এটি শেয়ার
করুন আপনার বন্ধুদের নিকট যাতে তারাও ভালভাবে বাংলা শিখতে পারে। আর হে যদি কোন
কিছু বোঝতে সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট এ জানাতে পারেন।
পঞ্চম পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
পঞ্চম পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
আল্লাহ-হাফেয।
No comments:
Post a Comment