আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি
ভাল আছেন। বরাবরের মত আমি আব্দুল করিম
সাজু আপনাদের সামনে হাজির হলাম বাংলা
ব্যাকরণের নতুন একটি টিউন নিয়ে।
শুরুতে বাংলা ব্যাকরণের
যেটুকু অধ্যায় আমরা বিগত পর্বে দেখে ছিলাম তা এখন একটু তার ফ্ল্যাশব্যাক দেখে নেই।
১) বিদেশী শব্দে কখনো ণ, ষ, ছ হবে না।
২) আলি, অঞ্জলি, আবলি সর্বদা ই-প্রত্যয় যোগে হবে।
৩)ভাষা ও জাতিবাচক শব্দের শেষে সর্বদা ই-প্রত্যয় যোগে হবে।
আর যারা বিগত পর্বটি মিস করেছেন তারা চাইলে এখান
থেকে বিগত পর্বটি দেখে নিতে পারেন। এখানে ক্লিক করুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
গতবার যেখানে শেষ করে ছিলাম
আজ তার পর হতে শুরু করছি।
৪) নাসিক্য (নাসিক্যঃঙ, ঞ, ণ, ন, ম,) বর্ণগুলো তার পরবর্তী বর্ণানুসারে
নির্ধারিত হবে।
অর্থাৎ, নাসিক্য বর্ণটি তার
পরবর্তী বর্ণটি যে লাইনের হবে, সেটিও ওই একই লাইনের হবে।
যেমনঃ- অংক শব্দটি এইভাবে লিখলে ভুল হবে,
তার সঠিক বানানটি হচ্ছে অঙ্ক । [অঙ্ক শব্দটিতে লক্ষ্য করলে দেখবেন,
অ এর পরে ( ং) না বসে (ঙ) যুক্ত হয়েছে ক হওয়ার কারণে]
আবার অন্য একটি উদাহরন
দেখতে পারেন যেমনঃ- পাঞ্জেরি। শব্দটিতে পা+ণ/ন/ঞ+জেরি কোনটি হবে? এখানে অবশ্যই (ঞ) হবে কারণ তার পরের
অক্ষরটি হচ্ছে (জ)।
এভাবে আরো কয়েকটি উদাহরণ
দেখতে পারেন যেমনঃ-
কণ্ঠ=ক+ণ+ঠ, চঞ্চল= চ+ঞ+চল, ইত্যাদি।
৫) যে সকল বিশেষনের (বিশেষন হচ্ছে দোষ,গুন,অবস্থা,ইত্যাদি যা বিশেষ্য কে Modify করে। ইংরেজিতে যাকে বলে Adjective) শেষে ঈ-কার আছে তার
সাথে কিছু যুক্ত হলে তা ই-কার হবে।
যেমনঃ- সহযোগী। এর সাথে যদি (তা) হয় তাহলে হবে, (সহযোগী+তা) সহযোগিতা।
আবার দেখুন দায়ী, এ শব্দটির সাথে যদি (ত্ব) যোগ হয় তাহলে হবে (দায়ী + ত্ব) দায়িত্ব।
তাহলে আজ আর বেশী বাড়াবো
না, আজ এতটুকুই। দেখা হবে আগামী কোন পর্বে ইনশা-আল্লাহ।
ততক্ষণ পর্যন্ত শিখতে
থাকুন,জানতে থাকুন, আর জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে থাকুন।
দোয়া করবেন আমার জন্য, আমিও
আপনাদের জন্য দোয়া করবো।
আর হে যদি নূন্যতম ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন
না কিন্তু! আর এটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের নিকট যাতে তারাও ভালভাবে বাংলা শিখতে
পারে।কারণ;{শিক্ষার কোন শেষ নেই}
আল্লাহ-হাফেয।
No comments:
Post a Comment